بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সততায় আমরা কল্যাণে আমরা শান্তিতে আমরা
বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদ
(একটি অরাজনৈতিক,সমাজ সেবামূলক ও সম্পূর্ণ অলাভজনক সমাজ কল্যাণ পরিষদ)
নীতিমালা বা গঠনতন্ত্র
১। সংস্থার নামঃ- বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদ.
২। ঠিকানাঃ- গ্রামঃ- চান্দলা, পোস্টঃ- চান্দলা, থানাঃ- ব্রাহ্মণপাড়া, জেলাঃ- কুমিল্লা।
৩। প্রতিষ্ঠা:- তারিখঃ ০১/ ০১/২০২১ ইং ।
৩। বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদ হল- সম্পূর্ণ স্বাধীন, সামাজিক, সেচ্ছাসেবী, সাংস্কৃতিক ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন সংগঠন। এই সংগঠন অন্য কোন সংগঠনের অঙ্গ-সংগঠন হিসেবে কাজ করবে না ।সমাজের দুস্থ-অসহায় মানুষের দোর গোড়ায় সেবা পৌছে দিয়ে বৈষম্য দূরীকরনের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়, সততা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করাই এই পরিষদের প্রধান কাজ।
নেতিবাক্য : "এসো মোরা কাজ করি মানবতার কল্যাণে, গড়ি এক সমৃদ্ধ সমাজ"
স্লোগান : "সমরে আমরা,কল্যাণে আমরা,সর্বত্র আমরা,শান্তিতে আমরা "
৪। কার্য এলাকাঃ- এই পরিষদের কার্যএলাকা প্রাথমিকভাবে বৃহত্তর চান্দলায় সীমাবদ্ধ থাকবে.
৫। শপথ গ্রহণ : আমি আল্লাহর নামে শপথ করতেছি যে সর্বদা কল্যাণের জন্য কাজ করব, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব, বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদের প্রতি অনুগত থাকিব, একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে আল্লাহ, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন মানব জাতির ও সমাজের গরিব দুঃখিদের কল্যাণ করিতে পারি এবং এই পরিষদকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ পরিষদ হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।"
৬। মূলনীতিঃ সমাজের দুস্থ-অসহায় গরিব-দুঃখি ও এতিমদের সাহায্য করা; শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি, একতা বা ঐক্যবদ্ধ (ঐক্য), বিশুদ্ধ উদ্দেশ্য, বিশ্বস্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্প্রীতি।
৭। সংস্থার প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য :বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদ একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসাবে নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ মোতাবেক সমাজ উন্নয়ন কাজ করবে, যা একটি মানব কল্যাণমূলক সংগঠন বা বিশ্বের কল্যাণকামী মানুষের একটি সম্মিলিত সংগঠন যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের মানুষকে কল্যাণের পথে ডাকা। সাধারণত সমাজের কল্যাণকামী মানুষদেরকে একত্র করে সার্বিকভাবে সমাজের মানুষের কল্যাণ সাধন করা। সাধারণত কল্যাণ কামী ব্যক্তিদের একত্রিত করা। পবিত্র উদ্দেশ্য নিয়ে একত্রিত হওয়া। এই পরিষদ এর মুল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় ৩টি মূলনীতিকে। এগুলো হলো: বিশ্বস্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ , একতা বা ঐক্যবদ্ধ , এবং WELFTION বা কল্যাণের জন্য বিশুদ্ধ উদ্দেশ্য নিয়ে একত্রিত হওয়া।
বিশ্বস্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ : এই পরিষদের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে হতে হবে বিশ্বস্ত বন্ধুপূর্ণ।
“আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী তারা একে অপরের বন্ধু, তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় ও অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করে, আর তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে আর যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে, তাদের উপর আল্লাহ শীঘ্রই দয়া করবেন, নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” সূরা আত্-তাওবাহ, ৯/৭১.
একতা বা ঐক্যবদ্ধ : আমারা বিশ্বাস করি যদি মিলেমিশে একজোট হয়ে থাকি, তবে কোনো শত্রুই আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ একতার ক্ষমতা অনেক বেশি। আর যদি সব সময় ঝগড়া-বিবাদ করি, আলাদা হয়ে থাকি, একজন বিপদে পড়লে তার পাশে সবাই না দাঁড়াই, তাকে সাহায্য না করি, তবে শত্রুরা আমাদের একা পেয়ে ঘায়েল করে দেবে। তাই আমাদের মধ্যে থাকবে একতা। মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমারা আল্লাহর রজ্জুকে (ইসলাম) আঁকড়ে ধর (ঐক্যবদ্ধ হও) এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ -সূরা আল ইমরান: ১০৩. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া, অনুগ্রহ, মায়া-মমতার দৃষ্টিকোণ থেকে তুমি মুমিনদের দেখবে একটি দেহের মতো। যদি দেহের কোনো একটি অংশ আহত হয়ে পড়ে তবে অন্যান্য অংশও তা অনুভব করে।’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম।
"এসো মানবতার কল্যাণে কাজ করি, সুন্দর সমাজ গড়ি"
৮। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যঃ- সংগঠন একটি সামাজিক প্রক্রিয়া। যেখানে একদল মানুষ একটি সাংগাঠনিক কাঠামোর অন্তভুক্ত হয়ে নিদিষ্ট কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সর্বদা নিরন্তর। বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদ এর ব্যাতিক্রম নয়। এই পরিষদ একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, মানবসেবা ও মানব উন্নয়ন মূলক সামাজিক সংগঠন । যেখানে সমাজের কল্যাণকামী ব্যক্তিগণ একত্রিত হয়েসমাজের অসহায়, গরিব-দুঃখি ও এতিমদের সাহায্য করা ,শিক্ষা সচেতনতা, শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ পারষ্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বের সেতু স্থাপন তথা আদর্শ সমাজ জীবন গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ে সামাজিক, উন্নয়নশীল ও উন্নয়নমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে এই পরিষদের আত্মপ্রকাশ, যা মানুষ ও মানবতার সেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আপনিও যদি হাতে হাত রেখে, কাধে কাধ মিলিয়ে মানবসেবা ও মানব উন্নয়নমূলক সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেতে চান যোগ দিন আমাদের সাথে, যোগ দিন বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদে।
৯। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যঃ বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদের লক্ষ্য হচ্ছে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবার মাধ্যমে একটি সুন্দর ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা। যে সমাজে থাকবে না অসহায় মানুষের আর্তনাদ, আর্থিক অভাবের কারনে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরে পড়া এবং চিকিৎসার অভাবে অকাল মৃত্যু। অর্থাৎ, সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষেরদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা, কুরআন শিক্ষার বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দেয়া। এছাড়াও সমাজ থেকে দারিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষ্যে বেকার যুবক ও বিধবা মহিলাদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলা। সর্বোপরী, নিঃস্বার্থ মানব সেবার মাধ্যমে সমাজ থেকে বৈষম্য দূরীকরণ তথা সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করাই এই পরিষদের লক্ষ্য।
১০. প্রতিষ্ঠানের সদস্য/ সদস্যাদের শ্রেণি বিভাগ :
ক. উপদেষ্টা সদস্য : সৎ, বিশেষ যোগ্যতা, পারদর্শী, সু-দক্ষ ও বিশেষঅভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে সংস্থার উপদেষ্টা সদস্য হিসাবে মনোনীত করা হবে।
খ. প্রতিষ্ঠাতা সদস্য : যে সকল সদস্যগণ এই সংস্থা স্থাপনের প্রতিষ্ঠাকালীন স্বাক্ষরদাতা হবেন এবং সংস্থার প্রতিষ্ঠার প্রথম উদ্যোগ গ্রহনকারী সকলেই এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য/ সদস্যা হিসাবে গণ্য হবে। প্রতিষ্ঠাতা সকল সদস্য সংস্থার আজীবন সদস্য এবং সাধারন পরিষদের সদস্য বলে অভিহিত হবে।
গ. সাধারণ সদস্য : সাধারণ সদস্য/সদস্যাদের যোগ্যতা নিম্নে বর্ণিত ১১নং ধারা মোতাবেক নির্ধারিত হবে।
ঘ. আজীবন সদস্য: যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রতিষ্ঠানের তহবিলে এককালীন অন্তত ৫০ হাজার টাকা দান করবেন তাদেরকে সংস্থায় আজীবন সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হবে।
১১. সদস্য হওয়ার যোগ্যতা :
ক. জন্মসূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলাধীন বৃহত্তর চান্দলার স্থায়ী বাসিন্দা, যিনি পরিষদের নীতিমালার সাথে একমত পোষন করেন তিনি নিম্নে বর্ণিত শর্তে এ সংস্থার সদস্য হতে পারবেন।
খ. নূন্যতম ১৮ (আঠার) বছর বয়ষ্ক এবং প্রবাসি হতে হবে।
গ. ভদ্র, রুচিশীল, উদ্যোমী, সদাচারী ও মননশীল হতে হবে।
ঘ. যারা স্বেচ্ছাব্রতী মনোভাবাপন্ন এবং নিজেদের তথা দেশের ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে সমাজ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত কিংবা সম্পৃক্ত হতে ইচ্ছুক এবং নৈতিকতা বিরোধী কোনো কার্যক্রমে লিপ্ত নয়।
ঙ. উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে (আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত নহে) ।
চ. সংস্থার আদর্শ ও উদ্দেশ্য এবং গঠনতন্ত্রের প্রতি অনুগত হতে হবে।
ছ.অসহায় দুঃখী-দরিদ্র মানুষের সেবা করার মানসিকতা থাকতে হবে।
জ.প্রত্যেক সদস্যকে ভর্তি ফি পরিশোধ এবং প্রতি মাসে সংগঠন কর্তৃক মাসিক ধার্যকৃত চাঁদা জমা দিতে হবে।
ঝ.যারা নিজেদের মেধার সর্বোচ্চ বিকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একটি ক্ষুধামুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল সমাজ ও এলাকা গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।
ঞ. সংস্থার অর্পিত দায়িত্ব সক্রিয় ভাবে পালন করতে হবে।
ট. জাতীয় আইন বিরোধী, উক্ত দেশের রাষ্ট্রীয় আইন বিরুদ্ধি এবং ইসলাম সমর্থন করে না এমন কোনো কাজে লিপ্ত থাকা যাবে না।
ঠ.সমাজকল্যাণ ও মানব সেবায় নিবেদিত হতে হবে।
ড.সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হতে হবে (পাগল ও উম্মদ নহে)।
ঢ.সততা ও কল্যাণের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মঙ্গলকামী ব্যাক্তিদের একত্রিত করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
১২. সদস্য ভর্তির নিয়মাবলী :
ক. অনলাইনে সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে www.bcpiskp.org সদস্য ফরম পূরণ করে অথবা সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে সদস্য ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথ ভাবে পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
খ. সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত মেসেঞ্জার গ্রুপে কোন একজন বর্তমান সদস্যদের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
গ. কার্য্নির্বাহী পরিষদ সভায় গৃহিত প্রস্তাব অনুযায়ী সদস্য পদের আবেদন পত্র মঞ্জুর/ খারিজ হবে।
ঘ. কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সদস্য পদের জন্য আবেদনকারী ব্যাক্তির নাম সংস্থার সদস্য হিসেবে গন্য করা হলে ৩ (তিন) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
ঙ. আবেদনপত্র গৃটাকা পরিশোধ করে সংস্থার সদস্যভুক্ত হতে হবে।
১৩. সদস্যপদ বাতিল হওয়ার কারণসমূহঃ-
ক. কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে এবং তা কার্য্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে।
খ. মৃত্যু হলে বা আদালতে নৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত হলে।
গ. সংস্থার স্বার্থ ও আদর্শের পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে।
ঘ. গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া পর পর ৩টি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত না থাকলে।
ঙ. সংস্থার কাজে পর পর ৩ (তিন) মাস নিষ্ক্রিয় ও অকর্মন্য হয়ে পড়লে।
চ. সদস্যের স্বভাব, আচরন, মনোবৃত্ত্বি ও কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী হলে।
ছ. পাগল ও উম্মাদ প্রমানিত হলে।
জ. মস্তিষ্ক বিকৃতি ও নৈতিক স্খলনের কারনে ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দন্ডিত হলে।
ঝ. কোন সদস্যের নামে যদি অসামাজিক কর্মকান্ডের যথার্থ প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তার সদস্য পদ বাতিল হবে।
ঞ. সদস্যের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে।
ট. সংস্থার গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করলে এবং সংস্থার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারী হলে।
ঠ. সংস্থার পক্ষ হয়ে সংস্থার বিষয়ে কোন সদস্য পত্র-পত্রিকায়, অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম, সভা-সমিতি, সেমিনারে বিবৃতি প্রদানের পূর্বে কার্য্নির্বাহী পরিষদের অনুমতি গ্রহন না করলে।
ড. সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও অলাভজনক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করলে।
ঢ. সংস্থার নামে কোন সদস্য গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ও অবৈধভাবে চাঁদাবাজি ও জনগণের কাছ থেকে ডোনেশন/ অনুদান গ্রহন করলে।
ণ. সংস্থার মূল্যবান রেকর্ডপত্র স্বেচ্ছাচারীভাবে কুক্ষিগত করে সংস্থার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি
করলে।
ত. সংস্থার যে কোন সদস্য পদত্যাগ করিতে চাইলে তিনি সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি/সাধারন সম্পাদক এর নিকট পদত্যাগ পত্র পেশ করিবেন। কার্য নির্বাহ পরিষদের সভায় উহা গৃহিত হইলে উক্ত সদস্যের সদস্য পদ বাতিল হইবে অথবা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো যাইবে।
১৪.সদস্যপদ স্থগিতকরন :
গঠন্তন্ত্রের ধারা-- ১৩ এর খ,চ, ছ,জ, ঝ,ড, ঢ ব্যতিত, কোন সদস্যের আচরণগত কিংবা সংগঠনের গঠন্তন্ত্রের সাথে অসামঞ্জস্য কোন কাজের কারণে সদস্য পদ বাতিলের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে সদস্য পদ বাতিল না করে নোটিশের মাধ্যমে সতর্ক করা হবে। এতে সংশিষ্ট সদস্য সংশোধিত না হলে সদস্য পদ স্থগিত করা হবে। পরে তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ জারী করা হবে। নোটিশের প্রেক্ষিতে সদস্যদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে। সংস্থার সদস্যদের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলের পর সদস্যগনের জবাব সন্তোষজনক প্রমাণিত হলে কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সদস্য পদ পুর্নবহাল করা হবে।
১৫.সদস্যপদ নবায়ন/ পুন ভর্তি :
কার্য্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্রের প্রতি অনুগত ও গঠনতান্ত্রিক ভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালনে অঙ্গিকারবদ্ধ হলে লিখিত আবেদনক্রমে সদস্যপদ নবায়ন/ পুনভর্তি করা যাবে।
১৬.সদস্যদের অধিকার :
ক. প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণের ভোটাধিকার সংরক্ষিত থাকবে এবং সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত প্রদানের অধিকারও সংরক্ষিত থাকবে।
খ. সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক সাধারন সদস্যগণের মধ্য থেকে কার্য্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন করা হবে।
গ. সংস্থার উন্নয়ন ও সমাজ উন্নয়নে সাধারণ সদস্যগণ মতামত ও সুপারিশ পেশ করবেন বা মতামত প্রকাশ করবেন।
ঘ. সাধারণ সদস্যগণ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অনুমোদন করবেন : ১. গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজন। ২. বার্ষিক হিসাব প্রতিবেদন। ৩. বার্ষিক হিসাব ও বাজেট। ৪. ভোটাধিকার প্রয়োগ এর মাধ্যমে কার্য্যনির্বাহী পরিষদ গঠন। ৫. ভোটাধিকার প্রয়োগ করা।
১৭.সংস্থার ব্যবস্থাপনার জন্য সাংগঠনিক কাঠামো হলো চারটি:
ক. উপদেষ্টা পরিষদ
খ. কার্য্যনির্বাহী পরিষদ
গ. সাধারণ পরিষদ
ঘ. শাখা কমিটি
সাংগঠনিক কাঠামোর বিবরণ :
ক. উপদেষ্টা পরিষদঃ- কোন বিশেষ বিষয়ে যোগ্যতা , সুদক্ষ ও পারদর্শী,নীতি ও আদর্শবান এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রবাসে অবস্থিত সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদেরকে নিয়ে সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপদেশ প্রদান করবেন । সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ কার্যনির্বাহী সভার মাধ্যমে আলোচনার ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন । এই পরিষদের মেয়াদ হবে দুই বছর । প্রয়োজন বোধে কার্যনির্বাহী পরিষদ মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই উপদেষ্টা পরিষদ ভেঙ্গে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার ক্ষমতা সংরক্ষন করবে। সংস্থার গৃহীত সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ড সফল বাস্তবায়নে এ উপাদষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করবেন ।
# “” বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- কার্যনির্বাহী পরিষদ যদি মনে করে সংস্থার গৃহীত সমাজসেবামূলক কার্যক্রম সুন্দর ভাবে সম্পুর্ন করার জন্য দেশে অবস্থিত সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কে উপদেষ্টা পরিষদে সংযোজন করতে পারবে। “
খ.কার্যনির্বাহী পরিষদঃ- সাধারণ পরিষদ দুই বছরের জন্য একটি....... সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন করবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা ....... জন অবশ্যই নিম্নলিখিত কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হবে।
গ. সাধারন পরিষদঃ- সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ পরিষদের সকল সদস্য / সদস্যা নিয়ে গঠিত হবে সাধারন পরিষদ । তবে সাধারণ পরিষদের সদস্য / সদস্যা সংখ্যার কোন উর্দসীমা থাকবে না ।
ঘ. শাখা কমিটি গঠন ও কাঠামোঃ- সংস্থার সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে শাখা কমিটি গঠন করা হবে। উক্ত শাখা কমিটি ৩(তিন) সদস্য বিশিষ্ট হবে। শাখা কমিটি কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত, নিয়ন্ত্রিত এবং সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত এবং পরিচালিত হবে।
১. শাখা কমিটির দায়িত্ব, কর্তব্য ও সুবিধাঃ- কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শাখা কমিটি প্রত্যেক ওয়ার্ডের সংস্থার সদস্যদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সংস্থাকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করবে। সংস্থার যেকোনো কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- কার্যনির্বাহী পরিষদ যদি মনে করে শাখা কমিটির কার্যক্রম যে কোন সময় স্থগিত করিতে পারিবে।)
১৮. কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামো :
১. সভাপতি ১ জন
২. সিনিয়র-সভাপতি ১ জন
৩.সহ-সভাপতি ২ জন
৪.সাধারণ সম্পাদক ১ জন
৫.সহ-সাধারণ সম্পাদক ১ জন
৬.সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন
৭.সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন
৮.কোষাধ্যক্ষ ১ জন
৯.সহ- কোষাধ্যক্ষ ১ জন
১০.প্রচার সম্পাদক ১ জন
১১.সহ- প্রচার সম্পাদক ১ জন
১২.দপ্তর সম্পাদক ১ জন
১৩.সমাজ কল্যাণ ও ত্রাণ সম্পাদক ১ জন
১৪.শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
১৫.নির্বাহী সদস্য ...... জন
১৯. কার্য্যনির্বাহী পরিষদের কার্যাবলী ও দায়িত্ব :
ক. কার্য্যনির্বাহী পরিষদ সংস্থার সকল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।
খ. কার্য্যনির্বাহী পরিষদ উহার সভায় উক্ত সংস্থার যেকোন সদস্যকে বিশেষ কোন দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত নিবেন বা দায়িত্ব প্রদান করবেন।
গ. এই পরিষদের এর সদস্য না এমন কেউ এই সংস্থার কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
ঘ. দায়িত্ব প্রাপ্তির পর। প্রাপ্ত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে।
ঙ.দায়িত্ব কে বিকৃত করা যাবে না।
চ.জাতীয় আইন বিরুদ্ধি, উক্ত দেশের রাষ্ট্রীয় আইন বিরুদ্ধি এবং ইসলাম সমর্থন করে না এমন কোনো কাজে লিপ্ত থাকা যাবে না।
ছ.কার্য্যনির্বাহী পরিষদ সংস্থার বিভিন্ন প্রকার প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা নিবেন।
জ.কার্য্যনির্বাহী পরিষদের কোন সিদ্ধান্ত সংস্থার মোট কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নূন্যতম (দুইতৃতীয়াংশ) অংশের সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
ঝ.কার্য্যনির্বাহী পরিষদ প্রতিষ্ঠানের তদারকী/ তত্বাবধান, সংগঠনের নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণ, সদস্য আহরণ, বাতিল ইত্যাদি ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজের তদারকির দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিবেন।
ঞ.কার্য্যনির্বাহী পরিষদ আইনগতভাবে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করিতে বা নতুন সদস্য গ্রহণ করতে পারবেন। তবে সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনুমোদন করবেন।
ট.কার্য্যনির্বাহী পরিষদ সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করবেন ও সংস্থার সকল প্রকার কার্যাবলী সম্মন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ব্যাপারে পূর্ন ক্ষমতার অধিকারী হবে।
ঠ. সংস্থার বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন পূর্বক উহা বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করবে।
ড. সংস্থার তথা এলাকার স্বার্থে এবং শান্তি শৃঙ্খলার ব্যাপারে যে কোন আইনগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে উহা সাধারণ সভায় অনুমোদিত হতে হবে।
ঢ. যে কোন কার্য সম্পাদনের জন্য কার্য্যনির্বাহী পরিষদ বিভিন্ন উপ-কমিটি/ শাখা -কমিটি গঠণ করতে পারবে।
ণ. সততা ও কল্যাণের মধ্যেমে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মঙ্গলকামী ব্যাক্তিদের একত্রিত করারলক্ষে কার্য্যনির্বাহী পরিষদ কাজ করবেন।
২০.কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ, নির্বাচন, পদত্যাগ ও বহিষ্কার :
মেয়াদঃ কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ হবে ২ বছর।
নির্বাচনঃ কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ১মাস আগে পরবর্তি কমিটি নির্বাচন করতে হবে এবং নির্বাচন পরবর্তি সভায় তাদের নিকট বর্তমান কমিটি সব কিছু বুঝিয়ে দিবেন।
পদত্যাগ ও বহিষ্কারঃ
ক) যদি কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্য কোন কারণে পদত্যাগ করতে চান তাহলে কমপক্ষে ১ মাস আগে কমিটি বরাবর লিখিত আকারে জানাবেন। কমিটি পরবর্তি সভায় সংখ্যাগরিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিবে।
খ) যদি কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্য এর সদস্য পদ বাতিল হয় তবে সে নির্বাহী কমিটি থেকে বহিষ্কৃত হবে।
গ) যদি কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্য তার নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন এবং তাকে কমপক্ষে ৩ বার সতর্ক করার পর ও মনযোগী না হন সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যেতে পারে এবং সেটা অবশ্যই কার্যনির্বাহী কমিটির ২/৩ অংশের মতামতের ভিত্তিতে তাকে বহিষ্কার করা যাবে।
ঘ) সাধারণ সদস্যদের ২/৩ অংশ যদি কার্যনির্বাহি কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেয় সে ক্ষেত্রে তাকে বহিষ্কার করা যাবে, তবে অবশ্যই তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে এবং কমিটির অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঙ) সাধারণ সদস্যদের ২/৩ অংশ যদি কার্যনির্বাহি কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেয় সে ক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অবশ্যই সাধারণ সদস্যদের মতামতের প্রতি যথাযথ সম্মান দিতে হবে।
২১.কার্য্যনির্বাহী পরিষদের শূন্য পদ পূরণ :
কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ তাদের মেয়াদকালের মধ্যে, কার্য্যনির্বাহী পরিষদের কোন পদ শূন্য হলে নিজেরাই সাধারণ পরিষদের সদস্যগণের মধ্যে থেকে সাধারণ সভার মাধ্যমে কো-অপ্ট করে শূন্য পদ পূরণ করতে পারবেন।
২২.সংস্থার কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণের দায়িত্ব/ কর্তব্য :
১। সভাপতি :
ক. কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা বা অন্য যে কোন সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং সাধারণ সম্পাদককে সভা আহ্বানের পরামর্শ প্রদান করবেন।
খ. তিনি প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের সভা আহ্বান করবেন।
গ. তিনি প্রতিষ্ঠানের কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা ও পরিচালনার নিয়মাবলী নির্ধারন করবেন।
ঘ. প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীদের অর্পিত কাজে উৎসাহ, সহযোগিতা ও পরার্মশ প্রদান করবেন।
ঙ. তিনি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরদাতা হবেন।
চ. তিনি সকল কাজে তদারকি, পরামর্শ ও উৎসাহ প্রদান করবেন এবং যে কোন সভা/ সিম্পোজিয়াম/ সেমিনারে সংস্থার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি সংস্থার পক্ষে যে কোন অথিতিকে অভ্যর্থনা ও সাক্ষাৎকার প্রদান করবেন।
ছ. তিনি সংস্থার কার্য বিবরণী অনুমোদন করবেন।
জ. তিনি সংস্থার সকল ব্যয় ভাউচার অনুমোদন করবেন।
ঝ. কোন সভায় যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম-সংখ্যক ভোট পরলে সভাপতি একটি কাষ্টিং ভোট প্রদান করবেন।
ঞ. প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সর্বদা তৎপর থাকবেন।
ট. কোন কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে তার কাজ পরিচালনার জন্য তিনি কার্য্যনির্বাহী পরিষদের অন্য কোন সদস্যকে মনোনয়ন দিতে পারেন।
ঠ. সংগঠনের স্বার্থে ও কল্যাণে যে কোন প্রকার দায়িত্ব পালন করবেন।
ড. বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভা আহ্বান করবেন।
২.সিনিয়র সহ-সভাপতিঃ
ক. সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ সভাপতি কার্যকরী পরিষদের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করবেন । সভাপতির অনুপস্থিতিতে বা সভাপতি পদত্যাগ করলে বা পালনে অসমর্থ হলে সিনিয়র সহ সভাপতি সভাপতির কাজ চালিয়ে যাবেন ।
খ.সকল কার্যাবলী তদারক করবেন এবং পরামর্শ প্রদান করবেন।
গ. সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সর্বদা তৎপর থাকবেন।
ঘ. সকল প্রকার কাজে সভাপতির সাথে পরামর্শ করবেন এবং সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে তা বাস্তবায়ন করবেন।
৩. সহ-সভাপতি :
ক. তিনি সভাপতির সকল কাজের সহযোগিতা করবেন।
খ. তিনি সভাপতির ও সিনিয়র সহ-সভাপতির অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
গ. তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
ঘ. সংগঠনের উপ-নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
ঙ. দায়িত্ব প্রাপ্তির পর। প্রাপ্ত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে।
৪.সাধারণ সম্পাদক :
ক.অফিস নির্বাহী হবেন ও থাকবেন। নির্বাহী পরিষদের নিকট সংগঠনের কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবেন।
খ.সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠি লেখা ও চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে তিনি স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
গ.তিনি সংস্থার স্থাবর/ অস্থাবর সম্পদের হিসাব সংরক্ষন করবেন এবং কার্য্যনির্বাহী পরিষদের ও সর্ব প্রকার সাধারণ সভার কার্যবিবরনী সংরক্ষণ করবেন।
ঘ. প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক কার্যক্রমের প্রতিবেদন তৈরি করা এবং কার্য্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তা সাধারণ সভায় পেশ করা, প্রচার করা এবং সংস্থার অন্যান্য কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরা।
ঙ. সংস্থার সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ করা এবং সংস্থার কার্যক্রম সম্বন্ধে তাহাদিগকে অবহিত করবেন।
চ. সহযোগী ও সহকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা/ ব্যবস্থা করা ও সংগঠনের নথিপত্র সংরক্ষণ করা এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ছ. সভাপতির পরার্মশক্রমে সংস্থার সকল সভা আহবান ও সভা লিপিবদ্ধ করবেন এবং সভার দিন তারিখ নির্ধারন করবেন।
জ. তিনি সংস্থার স্থাবর/ অস্থাবর সম্পদের জন্য ষ্টকবুক সংরক্ষণ করবেন।
ঝ. বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও কার্যক্রমের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করবেন।
ঞ. অর্থ সম্পাদক কর্তৃক মাসিক,ত্রৈমাসিক,বার্ষিক জমা খরচের হিসাব প্রস্তুত করিয়ে নিবেন এবং যথাযথ সভায় অনুমোদন ও পেশ করার ব্যবস্থা নিবেন।
ট. নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. সহ-সাধারণ সম্পাদক :
ক. তিনি সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজের সহযোগিতা করবেন।
খ. তিনি সাধারণ সম্পাদকের অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
গ. তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
৬. সাংগঠনিক সম্পাদক :
ক. সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
খ. সংগঠনের কার্যক্রমে স্থীরতা প্রকাশ পেলে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণের জন্য সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনাপূর্বক করণীয় নির্ধারণ করবেন।
গ. সংগঠনের কোন সদস্যের অনুপস্থিতি বা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ নির্ণয় এবং সমস্যাসমূহ দেখে সংগঠনের স্বার্থে সবাইকে তা অবহিত করবেন।
ঙ. সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন।
চ. সংগঠন কোন হুমকির শিকার হলে সেটি সভাপতিকে অবগত করবেন।
ছ. সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।
জ. সংগঠনের কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। সাধারণ সদস্য ভর্তি বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি সব সময় তৎপর থাকবেন।
ঝ.সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা ও গতিশীল রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ঞ. সংগঠনের সার্বিক উন্নয়নে সর্বদাই সকল নির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্যের সাথে যোগাযোগ, আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন।
৭.সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক:
ক. তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের সকল কাজের সহযোগিতা করবেন।
খ. তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
গ. তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
৮.কোষাধ্যক্ষ :
ক. সংগঠনের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা,সংগৃহীত অর্থ যাতে সংগঠনের স্বার্থে ব্যয় হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা অর্থ সম্পাদকের মূল কাজ।
খ. তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার অর্থ, চাঁদা ও সকল প্রকার দান, অনুদান রশিদ বহির মাধ্যমে গ্রহন করবেন।
গ. তিনি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় অর্থ বিষয়ে হিসাব-নিকাশ রেকর্ডমূলে সংরক্ষন করবেন।
ঘ. তিনি বার্ষিক সাধারন সভায় বার্ষিক খরচের হিসাব উপস্থাপনে এবং বাজেট প্রণয়নে ও বার্ষিক বাজেট অনুমোদনের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদকে সার্বিক সহযোগিতা করার দায়িত্ব পালন করবেন।
ঙ. সংগঠনের সদস্যদের হতে মাসিক ফি সংগ্রহ,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ হতে অনুদান গ্রহণ তার দায়িত্ব।
চ. তিনি সংগঠনের অর্থের ভবিষ্যৎ উৎস চিহ্নিত করে নির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করবেন।
ছ. প্রাপ্ত টাকা সংস্থার সংশ্লিষ্ট হিসাব নম্বরে জমা প্রদান করে জমার বিষয়টি সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করবেন।
জ. সংগঠনের সকল প্রকার আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
ঝ. সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
ঞ. তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের সাথে অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বদা যোগাযোগ বজায় রাখবেন।
ট. সংগঠনের জমা খরচের হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে অর্থ সম্পাদক সাধারণভাবে দায়ী থাকবেন।
৯.সহ- কোষাধ্যক্ষ:
ক. তিনি কোষাধ্যক্ষ সকল কাজের সহযোগিতা করবেন।
খ. তিনি কোষাধ্যক্ষ অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
গ. তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
১০.প্রচার সম্পাদক:
ক. সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘোষিত প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের কাজ।
খ. সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা সম্পন্ন করে থাকবেন।
গ. সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
ঘ. প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গোলটেবিল আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।
ঙ. সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।
চ. বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারণার দায়িত্বও তার অধীনে।
ছ. সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব।
জ. তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
ঝ. সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করবেন।
ঞ. নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করবেন।
১১.সহ- প্রচার সম্পাদক:
ক. তিনি প্রচার সম্পাদকের সকল কাজের সহযোগিতা করবেন।
খ. তিনি প্রচার সম্পাদকের অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
গ. তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
১২.দপ্তর সম্পাদক:
ক. সংগঠনের সমস্ত তথ্য, রিপোর্ট,চিঠিপত্র,দপ্তর ও সংস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণ করবেন।
খ. সকল সভা কার্য দিবসের নোটিশ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল সদস্যকে অবহিত করবেন।
গ. সংগঠনের বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।
ঘ. সংগঠনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন।
ঙ. নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।
১৩.সমাজ কল্যাণ ও ত্রাণ সম্পাদক:
ক. তিনি সংস্থার সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করবেন।
খ. সমাজের নানা অসঙ্গতি সংগঠনের সভায় তুলে ধরবেন।
গ. মানুষের সাথে পরিচিতি বাড়াবেন।
ঘ. সমাজের জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যনির্বাহী পরিষদকে সহায়তা করবেন।
ঙ. সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষকে কিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া যায় এর পরিকল্পনা করবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে উপস্থাপন করবেন ।
চ. তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
১৪.শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক:
ক. সমাজের অসহায় দরিদ্র, এতিম ছেলে মেয়েদের কিভাবে শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায় , কি ভাবে সহায়তা করা যায় এর পরিকল্পনা করবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে উপস্থাপন করবেন ।
খ. সমাজের বয়স্কদের কিভাবে কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায় পরিকল্পনা করবেন ।
গ. শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন এবং অসহায়দের শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা
পালন করবেন।
ঘ. তিনি ধর্মীয় শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। সমাজে ধর্মীয় চেতনা উদ্ধুদ্ধকরণ ও ধর্মীয় কুসংস্কার দুরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
ঙ. নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
১৫.নির্বাহী সদস্য:
ক. বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা।
খ. গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা করা।
গ. সংগঠন পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের জন্য দায়িত্ব পালন করা।
ঘ. সংগঠনের প্রয়োজনে যে কোন প্রকার উন্নয়ন ও সেবামূলক প্রকল্প গ্রহণ করা।
ঙ. নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
চ. সংগঠনের প্রয়োজনে কর্মচারী নিয়োগ করা।
ছ. পরিকল্পনা, বাজেট প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, হিসাব নিরীক্ষণ এবং কর্মসূচি মূল্যায়ন করা।
জ. কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবায়ন কমিটি এবং বিভিন্ন সাব কমিটি গঠন ও অনুমোদন করা। ঝ. বার্ষিক/ত্রৈমাসিক/মাসিক খরচাদি মঞ্জুরি দান করা।
ঞ. সাংগঠনিক স্বার্থে বিভিন্ন তহবিল/মূলধন গঠন, ব্যয়ের খাত নির্ধারণ, প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনা এবং সার্বিক দায় দায়িত্ব পালন করা।
ট. গঠনতন্ত্রের ধারায় যাহার ব্যাখ্যা বা সুরাহা নেই তার ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ঠ. সাংগঠনিক যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
২৩.সাধারণ পরিষদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব :
ক. সংস্থার সকল সদস্যদের সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে।
খ. সংস্থার স্বার্থে সাধারণ পরিষদ যে কোন বৈধ সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গন্য হবে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসহ সাধারণ সদস্য কর্তৃক কার্য্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।
গ. এই সংস্থা শুরুর এক বছর শেষে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঘ. সংস্থার সাধারন পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত বা মনোনীত কর্মী পর্যবেক্ষক হিসেবে কার্য্যনির্বাহী পরিষদের বা অন্যান্য সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন, কিন্তু তাদের কোন ভোটাধিকার থাকবে না।
ঙ. সাধারণ সভার কার্যবিবরনী পাঠ ও অনুমোদন করা।
চ. সর্বপ্রকার রিপোর্ট পেশ ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন।
ছ. উপবিধি সংশোধন (যদি থাকে)
জ. মূলতবী প্রস্তাব/ বিবিধ।
ঝ. সংস্থার যে কোন গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে কার্য্যনির্বাহী পরিষদকে সাধারণ পরিষদের মতামত গ্রহণ করতে হবে।
ঞ. কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচনে সাধারন পরিষদ দায়িত্ব পালন করিবেন।
২৪.বিভিন্ন প্রকার সভা ও সভার নিয়মাবলী :
ক. সাধারণ সভা।
খ. কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সভা।
গ. জরুরী সভা।
ঘ. বিশেষ সাধারণ সভা।
ঙ. মূলতবী সভা।
চ. তলবী সভা।
ক. সাধারণ সভা :
কমপক্ষে বছরে একবার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং উহা বার্ষিক সাধারণ সভা রূপে গন্য হবে। তবে বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ সাধারণ সভাও আহবান করা যাবে। সাধারণ সভায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুমোদন লাভ করবে। সাধারণ সভা ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে আহবান করা হবে।
১। প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদন।
২। বার্ষিক বাজেট ও হিসাব।
৩। বার্ষিক সাধারন সভায় সংস্থার আয় ব্যয়ের অভ্যন্তরীণ অডিটের জন্য অডিটর মনোনয়ন করা।
৪। সংস্থার গঠনতন্ত্রের ধারা, উপ-ধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংযোজন।
৫। সভার সিদ্ধান্ত মোট সদস্যের নূন্যতম অংশের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।
খ. কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সভা :
১। বৎসরে কমপক্ষে কার্য্যনির্বাহী পরিষদের ১২টি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২। নূন্যতম ৩ দিন পূর্বে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখপূর্বক সভার নোটিশ জারী করিতে হবে। নূন্যতম অংশ কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।
গ. জরুরী সভা :
১। জরুরী সভা ২ (দুই) দিনের নোটিশে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে আহবান করা যাবে। মোট সদস্যদের নূন্যতম (দুই তৃতীয়াংশে) এর উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।
ঘ. বিশেষ সাধারণ সভা :
১। যে কোন বিশেষ কারণে সাধারণ সভা ১০ (দশ) দিনের মধ্যে নোটিশে আহবান করা যাবে। তবে এ সভায় বিশেষ এজেন্ডা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশেষ এজেন্ডার উদ্দেশ্য লিপিবদ্ধ করে যথারীতি নোটিশ প্রদান করতে হবে। মোট সদস্যের নূন্যতম (দুই তৃতীয়াংশ) এর উপস্থিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।
ঙ. মূলতবী সভা:
১। কোরামের অভাবে মূলতবী সাধারণ সভা মূলতবীর তারিখ থেকে পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। মূলতবী সভার তারিখ হতে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নোটিশ জারী করতে হবে। অনুষ্ঠিত সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত মোট সাধারণ পরিষদ সদস্যদের নূন্যতম (দুই তৃতীয়াংশ) এর সিদ্ধান্তক্রমে চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।
২। কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সভা ৩ (তিন) দিনের নোটিশে কোরামের অভাবে মূলতবী হলে দ্বিতীয়বার ৩ (তিন) দিনের নোটিশে অনুষ্টিত সভার কোরাম পূর্ণ না হলেও যত জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন তাদের নিয়েই মূলতবী সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সভার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।
চ. তলবী সভা:
১। গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক সংস্থার সভা আহবান না করলে কমপক্ষে মোট সদস্যদের নূন্যতম (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য- একজন আহবায়ক মনোনীত করে বিশেষ সাধারণ সভার কর্মসূচীর এজেন্ডা বা উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে স্বাক্ষর দান করতঃ তলবী সভার আবেদন সংস্থার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিতে পারবেন।
২। সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক তলবী সভার আবেদন প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে তলবী সভার আহবান করবেন। তলবী সভার আবেদন প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক তলবী সভা আহবান না করলে ১৫ (পনের) দিনের মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ হতে পরবর্তী ১০ (দশ) দিনের মধ্যে ৭ (সাত) দিনের নোটিশে সাধারন সদস্যগন আহবায়কের নের্তৃত্বে তলবী সভা আহবান করতে পারবেন। মোট সদস্যের (দুই তৃতীয়াংশ) এর উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।
২৫.তহবিল সংগ্রহ :
নিম্নলিখিত ভাবে সংস্থার তহবিল সংগ্রহ করিতে পারবেন :
ক. ভর্তি ফি।
খ. সদস্য চাঁদা।
গ. এককালীন সদস্য চাঁদা।
ঘ. এককালীন অনুদান।
ঙ. কোন বিশেষ ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের অনুদান।
চ. সরকারী অনুদান।
ছ. সরকারের বিশেষ প্রকল্প অনুদান।
জ. যে কোন কাজে বিদেশী দান, অনুদান এবং বিদেশী এম্বেসীর দান, অনুদান ইত্যাদি।
২৬. আর্থিক ব্যবস্থাপনা :
ক. সংস্থার আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এলাকাস্থ বা দেশের যে কোন সিডিউল ব্যাংকে সংস্থার নামে একটি সঞ্চয়ী/ চলতি হিসাব খুলতে হবে।
খ. উক্ত সঞ্চয়ী/ চলতি হিসাব নম্বর সংস্থার কোষাধ্যক্ষ এবং দুইজন নিয়োগ কৃত একাউন্ট সহকারী, এই তিন জনের মধ্যে যে কোন ২ জনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে।
গ. সংস্থার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে কোষাধ্যক্ষ চলমান খরচ নির্বাহের জন্য ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা হস্তমজুদ রাখতে পারবেন। হস্তমজুদের টাকা খরচের পর তা পরবর্তী কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন গ্রহন করতে হবে।
ঘ. আর্থিক বছর শেষে তহবিলের অর্থ বা জমাকৃত তহবিলের অর্থ সদস্যদের মধ্যে বন্টন করা যাবে না। শুধুমাত্র সংস্থার আদর্শ ও উদ্দেশ্য অর্জনে এবং কর্মসূচী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কল্যাণমুখী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অসহায়দের কাজে খরচ করা যাবে।
ঙ. সংস্থার প্রয়োজনীয় অর্থ খরচের পূর্বে উত্তোলনের জন্য কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন গ্রহন করা হবে।
চ. সংস্থার নামে সংগৃহিত অর্থ কোন অবস্থাতে হাতে রাখা যাবে না। সংগৃহিত অর্থ প্রাপ্তির পর যথাশীঘ্র সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিয়ে জমার রশিদ সংগ্রহ করা হবে।
ছ. সকল ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং নীতিমালা অনুসরন করা হবে।
২৭. সংস্থা কর্তৃক সাহায্য বা অনুদান:
ক. সংস্থা কর্তৃক কাউকে কখনো অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
খ. কেউ যদি সাহায্যের জন্য আবেদন করে তাহলে কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
গ. সাহায্যের আবেদনের পর থেকে ৫ দিন এর মধ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং ডেকে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
ঘ. সংস্থার পক্ষ থেকে সাহায্য বা অনুদান দেওয়ার সময় কোন অবস্থাতেই সংস্থার কারো নাম উল্লেখ করা যাবে না। শুধু সংস্থার নাম উল্লেখ করতে পারবে।
২৮. নির্বাচন পদ্ধতি :
ক. কার্য্যনির্বাহী পরিষদ : সাধারণ সদস্যবৃন্দের প্রস্তাবনা, সমর্থন ও গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কার্য্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত হবে। কার্য্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করে ১০ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমোদন গ্রহন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের পরেই নির্বাচিত কমিটি চূড়ান্ত বৈধতা লাভ করবে।
খ. মেয়াদ : নির্বাচিত বা মনোনীত হওয়ার দিন হতে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদ পর্যন্ত কার্য্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল বলবৎ থাকবে।
গ. নির্বাচন কমিশন:
১. সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিদ্যমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ০২ মাস পূর্বেই নির্বাহী কমিটি তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য গঠন করিবে।
২.সংস্থার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন না বা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সংস্থার সদস্য নন এমন ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সমন্বয়ে ১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ২ জনকে সদস্য করে কার্যকরি পরিষদ কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
৩.নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন না।
৪. কোন কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হইলে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যমান নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত হইবে। সেক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় নির্বাচন পরিচালনাসহ পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন।
৫. নির্বাচন কমিশন গঠনের পর কার্য্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন বিষয়ক কোন কাজে হস্তক্ষেপ করিতে পারিবেন না। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ পরিচালনা করিবেন। এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কার্য্যনির্বাহী কমিটির নিকট যে যে সহায়তা চাইবে নির্বাহী কমিটি তাহা প্রদান করিবে।
৬. নির্বাচন কমিশন গঠনের পর মেয়াদ পূর্তির পূর্বে কোনভাবেই কার্য্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন কমিশনের কোন সদস্য পরিবর্তন করিতে পারিবেন না। তবে স্বেচ্ছায় কোন সদস্য পদত্যাগ করিলে বা অন্য কোন ভাবে তাহার পদ শূন্য হইলে তাহার স্থলে কার্য্যনির্বাহী কমিটি নতুন সদস্য নিয়োগ করিতে পারিবেন।
৭.প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করিলে কার্য্যনির্বাহী কমিটির সুপারিশক্রমে অপর কমিশনারদের মধ্য হইতে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার-এর দায়িত্ব পালন করিবেন।
৮.সুষ্ঠভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে আলাদা নির্বাচন পরিচালনা বিধি প্রণয়ন করা যাইতে পারে।
৯.কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ সমান সংখ্যক ভোট পাইলে নির্বাচন কমিশন লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করিবেন।
১০. নির্বাচন বিষয়ে কমিশন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
১১ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনই নির্বাচন কমিশন প্রার্থী বা তাহাদের এজেন্টদের সম্মুখে ভোট গ্রহণ
শেষে প্রাপ্ত ভোট গণনা করিয়া (যদি কেহ উপস্থিত থাকেন) ফলাফল ঘোষণা করিবেন।
১২. নির্বাচনের পর এবং কার্য্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের পর নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হবে।
ঘ. নির্বাচন প্রার্থীর কার্যক্রম:
১. বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন তবে কোন পদের জন্য কেউ প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করতে পারবে না।
২.বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্য প্রতিটি পদের জন্য সমান ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং সাধারণ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
৩.নির্বাচনকালীন সময় কোন অবস্থাতেই কারো বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না।
৪. কোন সদস্যকে কোন অবস্থাতেই হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে না।
৫. নিজের ভোট নিজেকে দিতে পারবে না এবং কারোর পক্ষে ভোট চাওয়া যাবে না।
৬. নির্বাচনকালীন সময় সংস্থার ক্ষতিসাধন হয় এমন কোনো কার্যকলাপ করা যাবে না।
৭.কোন সদস্যকে নিজের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য বাধ্য করা যাবে না।
৮.নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে।
৯.সংস্থার নির্বাচনকালীন আইন এবং গঠনতন্ত্র মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
ঙ. নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্যতা:
১. সভাপতি, সাধারন সম্পাদক , সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ হিসাবে একই পদে পরপর ধারাবাহিকভাবে দুইবার নির্বাচিত হইয়াছেন, তারা নির্বাচন করিতে পারিবেন না।
২.যাহারা সদস্যপদ নবায়ন পূর্বক ভোটার তালিকাভূক্ত হন নাই।
৩.কোন সদস্য চাঁদা একাধারে ০৬ মাস বাকি থাকিলে তিনি ভোটাধিকার পাবেন না। ভোটাধিকার না থাকিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।
৪.যারা সংস্থার বৈধ ভোটার নয় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৫. নির্বাচন কমিশনের সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।
চ. নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ:
১. নির্বাচন অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করিবেন।
২. নির্বাচন কমিশন গঠনের সাথে সাথেই কমিশনের তত্ত্বাবধানে বৈধ সদস্য সমন্বয়ে একটি ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হইবে এবং নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তারিখের কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বেই ইহা অবলোকনের জন্য সদস্যদের অবহিত করা হইবে।
৩.প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি থাকলে তাঁহার বরাবরে লিখিতভাবে পেশ করিতে হইবে।
৪. নির্বাচন কমিশন আপত্তিসমূহ পরীক্ষা করিয়া ভোটার তালিকা সংশোধনপূর্বক উহা চূড়ান্ত করিবেন।
৫. খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ, নির্বাচনের তারিখ, সময়, স্থান, নির্বাচন পদ্ধতি, মনোনয়নপত্র জমা করার জন্য তারিখ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ, চূড়ান্তভাবে মনোনয়নপত্র প্রকাশের তারিখ সর্ব বিষয়ে উল্লেখ করিয়া নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করিয়া নির্বাচনী কাজ সমাধান করিবেন।
৬. নির্বাচনী তফসিল বহুল প্রচারের জন্য সদস্যদেরকে যথাসময়ে অবহিত করতে হবে।
৭.চূড়ান্ত ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
৮.নির্বাচনের মনোয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে নির্ধারিত সময় শেষে কত জন প্রার্থী আবেদন করেছেন নির্বাচন কমিশন সকলের সামনে তাহা প্রকাশ করিবেন।
ছ. ভোটের প্রনালী :
১. এক ব্যক্তি একটি পদে একটি করে ভোট প্রদান করবেন এবং কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাবে না।
২. গোপন ব্যালট এর মাধ্যমে নির্বাচনের ভোট গ্রহন করা হবে।
৩.একজন ভোটার কার্যনির্বাহী পরিষদের যেকোন একটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন।
জ. ক্ষমতা হস্তান্তর:
১. নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষিত হওয়ার ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে বিদায়ী কমিটি নব নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করিবেন।
২. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করিতে ব্যর্থ হইলে এই মেয়াদ অন্তে নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হইবেন।
ঝ. শপথ গ্রহণ:
১. শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা উপদেষ্টা পরিষদের কোন সদস্য।
২. নব নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব গ্রহন এর সময় শপথ নিবেন।
৩.এই শপথ সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সকল সাধারণ সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য হবে ।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আমি——————— বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদের এর কার্য্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্বে বা সদস্য/পদে নিযুক্ত হয়ে, আল্লাহতালা কে সাক্ষী রেখে ওয়াদা করছি যে:-
আমি এই সামাজিক সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে একমতপোষণ করছি। বৃহত্তর চান্দলা প্রবাসী ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদ যে সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাতে আমি সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতা করব। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করব। এই সংগঠনের বিধিমালা যথাযথভাবে মেনে চলব। সর্বোপরি সমাজের অসহায় দরিদ্র এতিমদের সাহায্যে নিজেকে সদা সচেষ্ট রাখিব এবং আমার অর্পিত দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করিব। এই সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সকলকে সাথে নিয়ে কার্য পরিচালনার জন্য সচেষ্ট থাকিব। আমি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এই সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষ্ঠার সাথে পালন করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আমাকে এই ওয়াদা পালন করার জন্য তৌফিক দিন। আমিন।
২৯. বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান বিষয়ক :
সংস্থাটির বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে ১৯৭৮ সালের ফরেন ডোনেসন অধ্যাদেশের বিধি বিধান প্রতিফন করবে। বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান গ্রহণের পর সংস্থাটি সরকারের যে কোন একটি সিডিউল ব্যাংকে একটি মাত্র হিসাব পরিচালনা করবে।
৩০. অডিট :
সংস্থার আয় ব্যয় নিরীক্ষার জন্য একটি অভ্যান্তরীন নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হবে। সংস্থার কার্য্যনির্বাহী পরিষদ সাধারণ সদস্যদের মধ্যে থেকে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নিরীক্ষা কমিটি গঠন করবে। প্রতি আর্থিক বছরে অভ্যান্তরীন নিরীক্ষা কমিটি সংস্থার আয় ব্যয় নিরীক্ষা করবে। প্রয়োজনে কার্য্যনির্বাহী পরিষদ অভ্যান্তরীন নিরীক্ষা কমিটির সদস্য রদবদল করতে পারবে।
৩১. লোক/ জনবল নিয়োগ :
সংস্থার কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের জন্য কার্য্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হবে।
৩২. গঠনতন্ত্রের সংশোধন :
সময়ের প্রয়োজনে যদি গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন ও বিয়োজন এর প্রয়োজন হয়, তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের ২/৩ অংশের মতামতের ভিত্তিতে তা করা যাবে। প্রয়োজনে সাধারণ সদস্যদের মতামত নেওয়া যেতে পারে এবং সংশোধন কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
৩৩. তহবিল বৃদ্ধি :
ক. শুভাকাংখীদের নিঃস্বার্থ এককালীন দান,অনুদান বা সাহায্য তহবিলের উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।
খ. সরকারি অনুদান বা অন্য যেকোনো শুভ উপায়ে অর্জিত অর্থ সংগঠনের তহবিলে যোগ হবে।
গ. যথাযোগ্য রশিদ ছাড়া এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতিত অত্র সংগঠনের নামে কোন চাঁদা গ্রহন করা যাবে না।
ঘ. সংগঠনের সদস্য,প্রাবাসী, উপদেষ্টা পরিষদের অনুদান, বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ, দাতা সদস্যদের অনুদান এবং মাসিক চাঁদা এই সংগঠনের আয়ের আরও একটি প্রধান উৎস।
৩৪. অন্যান্যঃ
ক. সংগঠনের সকল বিপদে- আপদে নির্বাহি পরিষদসহ সবাই পাশে থাকবে।
খ. সংগঠনের সকল সদস্যদের সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।
গ. নির্বাহি পরিষদসহ সকল সদস্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবেন ।
ঘ. কোন অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য নির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
ঙ. সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকা যাবে না, যা সংস্থার বিরূপ প্রভাব ফেলে।
৩৫. সংগঠনের জন্য আইন পালনীয়ঃ
অত্র গঠনতন্ত্রে যা কিছু উল্লেখ্য থাকুক না কেন উক্ত সংস্থাটি ১৯৬১ সালের ৪৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে । তাছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকরি হবে।
৩৬. সংস্থার বিলুপ্তি :
যদি কোন অনিবার্য কারণে সংস্থার বিলুপ্তির প্রশ্ন ওঠে তবে সংস্থার সকল দায়দেনা কার্য্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক পরিশোধ করে মোট সদস্যের নূন্যপক্ষে (তিন পঞ্চামাংশ) সাধারণ সদস্যের সিদ্ধান্তক্রমে সংস্থা বিলুপ্তি হবে ।